রুটি রুজি বাঁচা মরা সব শেষ টিকে থাকা খাড়া;
মরকের বন্ধ জান হাতে বাড়ি ফেরার এ তাড়া |
এদিকে ওদিকে পেছনে সামনে মানুষের মুখ;
জলের মতন দিশেহারা তারা পথে নামা সারা;
রুটিরুজি নাই মাছের মত জালে আটকে পড়া |
গাড়ি চলে না নৌকা বয় না দোকান খোলে না
নীল ভয় লাল ভয় কালো ভয় গোলাপীর ভয়
বহুমুখী রঙিন নিরাকার ভয় আর কাটে না |
ভয় বিয়োগে ভয় সংযোগে ভয় ছেদে বিচ্ছেদে;
ভয় যাপনে সৎকারে কারবারে বারোয়ারি দরবারে;
ভয় দর্শনে ও বিসর্জনে, ভেতরে আর বাইরে |
ভয় অফিস ও আদালতে মেজবান ও দুশমনে;
ভয় আপনে, ভয় জীবনে, ভয় অদৃশ্য মরণে;
ঘরে আটকা শিশুর কলরব কোলাহল মেলে না |
থেমে আছে দিন, হারায়েছে মেল, খোলে না যে পথ;
আপন ঘরে আপন তালা, নরকের চৌদ্দ শিকে;
ইতর এ মরকের বাড়ি কই বাপের নাম কি?
মরক তর নাম কি? চড় আর থাপ্পর খাস কি?
আর কত কি চাস? বহুত হলো এবার বিদেয় হ;
ফুল পড়ে, পাতা ঝরে, ডাক পড়ে, মেলে না উত্তর |
রাত আসে রাত যায় পূবের আকাশে সূর্য উঠে,
দিন যায় মাস যায় বছর ঘুরে, ঘুরে না জীবন;
মরা বাড়ে; ‘মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি’|
নব আনন্দে জাগো আজ, অন্তরে মঙ্গল শোভাযাত্রা;
মুখে মুখে আল্পনা আঁকো হে , খোঁপায় ফুল গুঁজো যে;
মরা, ঠগ ‘আলোকের এই ঝর্ণাধারায় ধুইয়ে দাও...’ |
আসে অই আসে ঘটা করে কালবোশেখি ঝড়;
সব ভয় দূর করে, ’তোরা সব জয়ধ্বনি কর’;
তেড়ে মেরে শেষ করে করোনার কান ধরে:
’কাল ভয়ঙ্করের বেশে এবার ঐ আসে সুন্দর’| #
ছবি সূত্র: https://www.banglanews24.com/education/news/bd/851727.details
0 kommentarer:
Post a Comment